Saturday, June 26, 2010

সম্মিলিত উদাসিনতা



বাংলাদেশের অর্থনীতি যে দুইটা পায়ার উপর দাঁড়িয়ে আছে তার মধ্যে একটা হচ্ছে প্রবাসিদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আরেকটা হচ্ছে আমাদের পোশাক শিল্প, বিশ্ব অর্থনীতিক মন্দার ফলে অনেকেই আশংকা করেছিলেন যে এ দুইটা খাত হতেই দেশের আয় কমে যাবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত অর্থনীতিক মন্দা এই দুই খাতকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারেনি বিশেষ করে মালয়েশিয়া সহ অনেক দেশ তাদের শ্রম বাজার আবার নতুন করে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ফলে আপতত সংকট হতে কিছুটা রক্ষা পেলেও একই কথা বলা যাচ্ছে না

আমাদের রপ্তানী পোশাক শিল্পের ব্যাপারে পত্রিকা খুললেই খালি দেখি আশুলিয়াতে ১০০ জন, তেজগাঁওতে ২৫ জন, মিরপুরে ২০ জন পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষে আহত কোন কোন সময় নিহতের, আমাদের মিডিয়াগুলা ঘটনার মারামারি ফুটেজ ও বিবরণ সংগ্রহে যতটুকু উৎসাহ দেখায় ততটা তাদেরকে ঘটনাটি ঘটার কারণগুলা খটিয়ে দেখতে এবং তা নিয়ে সিরিজ রিপোরট করতে কখনই খুব একটা আগ্রহী দেখিনি।

সরকার ও মালিকদের ঘটনার পর জোরাতালি দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে যতোটা না ছুটাছুটি করতে দেখি ততোটা এর একটা টেকসই বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজতে কোন প্রকার কসরত করতে দেখি না এ সম্মিলিত উদাসীনতা যে রপ্তানী পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করে দিতে পারে তা মনে হয় কেউ এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছে না। এক সময় ভারতের বোম্বেতে পোশাক শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছিল কিন্তু ১৯৮২ সালে হতে শ্রমিক মালিক পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে তা ৯০ দিকে পুরাপুরিও বিলুপ্ত হয়ে যায় ১৫০,০০০ মতো লোক বেকার হয়ে পড়ে বাংলাদেশেও কি তার পুনারাবৃত্তি হতে চলেছে ?

No comments:

Post a Comment