Saturday, June 26, 2010
সম্মিলিত উদাসিনতা
বাংলাদেশের অর্থনীতি যে দুইটা পায়ার উপর দাঁড়িয়ে আছে তার মধ্যে একটা হচ্ছে প্রবাসিদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা আরেকটা হচ্ছে আমাদের পোশাক শিল্প, বিশ্ব অর্থনীতিক মন্দার ফলে অনেকেই আশংকা করেছিলেন যে এ দুইটা খাত হতেই দেশের আয় কমে যাবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত অর্থনীতিক মন্দা এই দুই খাতকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারেনি বিশেষ করে মালয়েশিয়া সহ অনেক দেশ তাদের শ্রম বাজার আবার নতুন করে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ফলে আপতত সংকট হতে কিছুটা রক্ষা পেলেও একই কথা বলা যাচ্ছে না
আমাদের রপ্তানী পোশাক শিল্পের ব্যাপারে পত্রিকা খুললেই খালি দেখি আশুলিয়াতে ১০০ জন, তেজগাঁওতে ২৫ জন, মিরপুরে ২০ জন পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষে আহত কোন কোন সময় নিহতের, আমাদের মিডিয়াগুলা ঘটনার মারামারি ফুটেজ ও বিবরণ সংগ্রহে যতটুকু উৎসাহ দেখায় ততটা তাদেরকে ঘটনাটি ঘটার কারণগুলা খটিয়ে দেখতে এবং তা নিয়ে সিরিজ রিপোরট করতে কখনই খুব একটা আগ্রহী দেখিনি।
সরকার ও মালিকদের ঘটনার পর জোরাতালি দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে যতোটা না ছুটাছুটি করতে দেখি ততোটা এর একটা টেকসই বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজতে কোন প্রকার কসরত করতে দেখি না এ সম্মিলিত উদাসীনতা যে রপ্তানী পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করে দিতে পারে তা মনে হয় কেউ এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছে না। এক সময় ভারতের বোম্বেতে পোশাক শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছিল কিন্তু ১৯৮২ সালে হতে শ্রমিক মালিক পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে তা ৯০ দিকে পুরাপুরিও বিলুপ্ত হয়ে যায় ১৫০,০০০ মতো লোক বেকার হয়ে পড়ে বাংলাদেশেও কি তার পুনারাবৃত্তি হতে চলেছে ?
Saturday, June 12, 2010
চায়ের পাতায় পাতায় চাপা আছে যাদের বঞ্চনার কথা
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়ার আগে চায়ের কাপে একটা চুমুক কিংবা বিকাল বেলায় পাড়ার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় চা সিগারেটের অপরিহার্যতাকে অস্বীকার করতে পারবে এরকম বেরসিক বাঙালী এদেশে খুব কমই আছে। চা এর প্রসঙ্গ আসলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে সিলেটের ছবির মতো সুন্দর সবুজ চা বাগানগুলির কথা। সিনেমা এবং প্যাকেজ নাটকগুলার কারণে চা বাগানের ম্যানেজারদের সুন্দর বাংলো বাড়ির কথাও হয়তো মনে আসতে পারে কারো কারো কিন্তু এই চায়ের উৎপাদনে যে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের অবদান আছে তা কখনও আমাদের মধ্যবিত্ত মননে জায়গা পায় না, আত্মকেন্দ্রিক শহুরে বাবুদের কাছে সব সময় আজানা থেকে যায় এসব চা শ্রমিকদের দুঃখের এবং বঞ্চনার কথা।
এখন হতে প্রায় চার হাজার বছর আগে চাইনিজরা তাদের দেশে চা চাষ আরম্ভ করলেও এই ভারতীয় উপমহাদেশে চা চাষের প্রচলন হয় ১৮৩৯ সালে ইংরেজদের মাধ্যমে। বর্তমানে সিলেট বিভাগ চা উৎপাদনের মূল কেন্দ্র হলেও আমাদের এই তল্লাটে প্রথম পরীক্ষামূলক চা চাষের শুরু হয় চট্টগ্রামে ১৮৪০ সালে তবে বাণিজ্যিক ভাবে চা উৎপাদন করা আরম্ভ হয় সিলেট জেলায় ১৮৫৪ সাল হতে।
এই সব চা বাগানে কাজ করার জন্য ইংরেজ উপনিবেশিকরা বিহার, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোকজনকে বলতে গেলে এক প্রকার জোর করে তুলে নিয়ে আসে সিলেট অঞ্চলে। এদের মধ্যে অর্ধেকই অমানুষীক পরিশ্রমে এবং রোগে ভুগে মারা যায় সিলেট আসার কিছু দিনের মধ্যে ।
যদিও এই চা শ্রমিকেরা ভারতের নানা প্রান্ত হতে এসেছিল তাদের ভাষা কৃষ্টি এক ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে ‘কুলি’ উপাধি লাভ করে চা কোম্পানীর মালিকদের কাছ হতে। যা তাদের পরবর্তী চার প্রজন্ম পার হলেও এখনও এই কুলির তকমা ধারণ করে আছে। তাদের পূর্ব পুরুষদের কৃষ্টি কালচার হতে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে আজ তারা সকলের কাছে কুলি নামেই খালি নামেই পরিচিত।এই কুলি নামে পরিচিত চা শ্রমিকদের রক্ত ঘামের মেহনতের মধ্য দিয়ে চা শিল্প সিলেট অঞ্চলে গড়ে উঠছে, চা বাগানের ম্যানেজারদের আলিসান বাংলোগুলি নির্মাণেও এই কুলিদের অবদান সবচেয়ে বেশী যদিও এ বাংলোগুলিতে থাকার কথা স্বপ্নেও তারা ভাবে না! ইংরেজরা যখন তাদের এখানে নিয়ে এসেছিল তখন তাদের কাছে ওয়াদা করেছিল যে চার বছর পরে তাদেরকে নিজ নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিবে। কিন্তু সে ওয়াদাই স্রেফ কাগজেই রয়ে গেছে বাস্তবতার মুখ দেখেনি কখনও। ১৯৪৭ সালের ইংরেজদের ভারত ত্যাগ কিংবা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের হয় ফলে চা বাগানগুলির মালিকানারও বহুবার হাত বদল হয়েছে কিন্তু চা বাগানের শ্রমিকদের ভাগ্যের এতে খুব একটা হেরফের হয়নি কখনও।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬৩ টি চা বাগান আছে(সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলায় ৭ টি নতুন চা বাগান গড়ার কাজ শুরু হয়েছে)। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৬৩ টি চা বাগানের মোট আয়তন হবে ১১৫,০০০ হেক্টরের মতো কিন্তু এই বিশাল জমির মাত্র ৪৫ % চা চাষের জন্য ব্যবহার করা হয়। এ বিশাল চা বাগানগুলির ব্যবস্থাপনায় এখনও ইংরেজ শাসকদের উপনিবেশীক সংস্কৃতির ছাপ বিদ্যম্যান Francis Rolt, British journalist, এ বলেন ...."The tea gardens are managed like an extreme hierarchy: the managers live like gods, distant, unapproachable, and incomprehensible. Some even begin to believe that they are gods, that they can do exactly what they like."সাহিত্যিক Dan Jones ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে চা বাগানে বেড়াতে এসে চা শ্রমিকদের অবস্থা দেখে মন্তব্য করেন.... "Managers have anything up to a dozen labourers as their personal, domestic servants. They are made to tie the managers shoe laces to remind them that they are under managerial control and that they are bound to do whatever they are asked." বলা যায় বাংলাদেশের চা বাগানগুলিতে এখনও দাস প্রথায় চালু আছে অন্যভাবে ।
The Tea Plantations Labour Ordinance, 1962 এবং The Tea Plantation Labour Rules, 1977 আইনে শ্রমিকদের নানা সুযোগ সুবিধার পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা যায় আবাসন থেকে আরম্ভ করে উন্নত মানের রেশন সুবিধা কোনটাই এই হতভাগ্যরা লাভ করে না, আবাসন সংকট এই চা শ্রমিকদের অন্যতম সমস্যা ছোট পরিসরে পরিবার পরিজন নিয়ে গোয়ালের গরুর মতো থাকতে হয় তাদের । ২০০৬ সালে বাংলাদেশে নতুন শ্রম আইন সরকার প্রচলন করে এ আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সর্ব নিম্ন মজুরি ধরা হয় ১,৬০০ টাকা( ২২ আমেরিকান ডলার) চা শ্রমিকেরা নতুন শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের মজুরি বাড়ানোর জন্য আন্দোলন আরম্ভ করলে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে শ্রম কল্যাণ মন্ত্রালয়ের আমলারা ফতোয়া দেন নতুন আইন চা বাগানের শ্রমিকেরদের ক্ষেত্রে খাটবে না !
এভাবেই চা বাগানের শ্রমিকেরা প্রতিনিয়ত অর্থনীতিক এবং সামাজিক ভাবে আমাদের শোষণ এবং অবহেলার স্বীকার হচ্ছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই দাসত্বের শিকল ছিঁড়ার কোন পথ তারা দেখতে পাচ্ছে না ।
বিশ্ব মন্দা পরবর্তী মেরুকরন এবং BRIC
বহু বছর ধরেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তা সে অর্থনীতি হোক কিংবা অন্য কোন ইস্যুতে একটা প্রথা প্রচলিত আছে আমেরিকার নীতিনির্ধারকেরা সেখানে বড় ভাইয়ের ভূমিকা পালন করবে বাকি দেশগুলি খালি তা শুনে যাবে এবং সম্মেলন শেষে আমেরিকান নীতিনির্ধারক গণ প্রত্যেকটা দেশকে পৃথক্ ভাবে সময় দিবে ব্যাপরটা অনেকটা অনেকটা রাজা তার প্রজাগণকে তাদের দুঃখ দুর্দশা শুনার জন্য সময় দেওয়ার মতো । কিন্তু গত ডিসেম্বরে কোপেনহেগে হয়ে যাওয়া জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে গিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামা উপলব্ধি করলেন নতুন করে আমেরিকার সেদিন আর নাই দিন বদলে গেছে ! সম্মেলনের শেষ দিকে এসে তিনি চিনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়া বাউয়ের সাথে পূর্বের প্রথা মতো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার খায়েস প্রকাশ করলেও তার সে খায়েস আর পূরণ হয়নি তার বদলে তাকে চিন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের প্রতিনিধিদের মিলিত একটা গ্রুপের সাথে মিটিং এ বসতে হয় এসব দেশগুলির সরকারের দাবীর মুখে। চিন, ভারত, আফ্রিকা, ব্রাজিলের মতো দেশ যারা কিনা thrid world country নামে পশ্চিমা দেশগুলির কাছে করুনা পেতো এতোদিন তাদের হঠাৎ এধরনের আচরণের কারণ জানতে হলে আমাদের BRIC(Brazil,Russia,India,China) নামে একটা নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে পরিচিত হতে হবে।
৮০-৯০ দশকে জার্মানির বার্লিন দেওয়াল ধসে যাওয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকেই বলা যায় সমাজতন্ত্র অর্থনীতিক ব্যবস্থা হিসেবে বিশ্বে তার আবেদন হারায়। অনেকে এও আশংকা করছিলেন যে শীতল যুদ্ধ পরবর্তী এ সময়টাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো বিকল্প শক্তির অভাবে আমেরিকার প্রবর্তিত বিশ্ব ব্যাংক এবং আই এম এফ প্রণীত অর্থনীতিই অর্থাৎ মুক্ত বাজার অর্থনীতি গরীব দেশগুলাকে গিলে খাবে তারা পরিণত হয়ে যাবে শিল্প উন্নত পশ্চিমা দেশগুলির করদ রাজ্য
এই সব বিশেষজ্ঞ এর ভবিষ্যৎবানী সেসময়ে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের অনেক লোকের ঘুম হারাম করলেও দেখা যাচ্ছে বিশ্বায়ন মুক্ত বাজার অর্থনীতির খেলা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে খেলায় খালি গোল খাওয়া নয় বরং গোল দেওয়াও যায় চিন ভারত মালয়েশিয়ার মতো দেশ তা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে তাদের তাক লাগানো অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে।
যে ভারতের মুক্ত বাজার অর্থনীতি গ্রহণের পূর্বে বার্ষিক জিডিপি ছিল মাত্র ৩% যাকে অনেকে মজা করে বলত ‘Hindu Growth Rate’ বলে কারণ ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার এবং জিডিপি সমান ছিল আজ ভারতের বার্ষিক জিডিপি হার ৮% উপরে এ বিশ্ব মন্দার ভিতরেও বিশ্বের ৫০০ বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানীর ৯৮ টি রিসার্চ কেন্দ্রের মধ্যে (R&D) মধ্যেও ৫৩ ভারতে তাদের গবেষণা কাজ পরিচালনা করে।
কমিউনিসট শাসিত চায়না মুক্ত বাজার অর্থনীতি গ্রহণ করার পর যে তেলেসমতি কাণ্ড করেছে যা দেখে পুঁজিবাদী জনক দেশগুলার অর্থনীতিবিদেরও মুখ হা হয়ে গেছে বলা যায় চিনের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২.৪ ট্রিলিয়ান (যা দিয়ে চিন চাইলে বিশ্বের বড় বড় বহুজাতিক কম্পানির ২/৩ ভাগ কিনে ফেলার ক্ষমতা রাখে!)। এছাড়া ১৯৯০ সোভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া যে গভীর অর্থনীতিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল শূন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে যাত্রা করলেও আজ তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দেখা যাচ্ছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ও বিশ্বায়নে অংশগ্রহণ করেও ভারত ,চিনে এবং রাশিয়ার মতো দেশ যে শুধু যে টিকেই আছে তা নয় বরং উন্নত ধনিক রাষ্ট্র বা OECD(Organization for Economic Co-operation and Development) যা অনেকের কাছে বড়লোকদের ক্লাব বলেও পরিচিত প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ারও সক্ষমতা রাখে যদি তারা মিলেমিশে কাজ করে সেই সাথে বর্তমানে প্রচলিত ঘুনে ধরা ( সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনীতিক মন্দা যা আমাদের এ ব্যবস্থার অন্ধকার দিকগুলি আমাদেরকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়েছে) পশ্চিমা প্রভাবিত বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন সাধন করতে পারবে এ ধরনের চিন্তা ভাবনা হতেই চিন, ভারত, রাশিয়া একটা অর্থনীতিক জোট গঠনে আগ্রহী হয় পরবর্তীতে এর দারিদ্রত দূরীকরণ এবং উন্নয়ন অভিমুখি কর্মসুচির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে লাটিন আমেরিকার বড় দেশ ব্রাজিলও এ জোটে যোগ দেয় এবং BRIC নামে আত্মপ্রকাশ করে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকাও এতে অফিসিয়ালি যোগ দানে আগ্রহী হয়েছে।
BRIC ভুক্ত দেশগুলির তাদের বিশাল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকার কারণে পশ্চিমা দেশগুলির বিশ্ব অর্থনীতিক মন্দার মোকাবেলা করতে গিয়ে যেভাবে বিশাল বাজেট ঘাটতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল সেরকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি বলা যায় বরং তারা বিশ্ব মন্দা পরবর্তী অবস্থায় আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাংকের বিপরিতে প্রভাবশালী ঋণদাতা দেশ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সম্প্রতি BRIC আফ্রিকান দেশগুলিকে সহজ শর্তে ১০ বিলিয়ন ঋণ দিবে বলে ঘোষনা দিয়েছে।
BRIC এর সাফল্য নিয়ে যেমন অনেকে খুশি তেমনি জোটের ব্যর্থতা নিয়েও অনেকে সংশয় ব্যক্ত করেছেন বলা যায় কারণ BRIC দেশগুলির সবাই একই আদর্শ ধারণ করে না উদাহরণ ভারত বহুদলীয় গণতন্ত্রেও বিশ্বাস করলেও চিনে একদলীয় শাসন বিদ্যমান যদিও চিন ও ভারতের মধ্যে অর্থনীতিক লেনদেন বর্তমান ৬০ বিলিয়নের উপরে দাঁড়িয়েছে তারপরেও তিববত, অরুনাচল নানা বিষয়ে তিক্ততার সম্পর্ক বিদ্যমান তেমনি জলবায়ু ইস্যু নিয়ে রাশিয়া ভারত চিনের অবস্থান বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এ সব ইস্যুর সঠিক সমাধানই BRIC এর ভবিষ্যৎ সাফল্য ব্যর্থতা নির্ধারণ করে দিবে বলা যায়
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত ভীষণভাবে মিডিল ইষ্টের শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেনস এবং ইউরোপ আমেরিকার পোষক রপ্তানীর উপর নির্ভরশীল। সময় এসেছে বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্ব মেরুকরনে BRIC ভুক্ত দেশ গুলার সাথে অর্থনীতিক সম্পর্ক জোরদার করা।
বাংলা নববর্ষের সমর্থনে আমার কিছু কথা
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় শত উৎসব পার্বণের দেশ বাংলাদেশে কোন উৎসবটা আমার কাছে প্রিয় আমি একবাক্যে কোন প্রকার চিন্তা না করে উত্তর দিব কেন বাংলা নববর্ষ! এরপর যদি কেউ আরও একটু আগ বাড়িয়ে জানতে চায় কেন এধরনের পক্ষপাত প্রদর্শন আমার সাফ জবাব হবে এই উৎসবের চরিত্রটা একে বাকি সব উৎসব থেকে পৃথক্ করেছে বাংলার বাকি উৎসবগুলার একটা ধর্মীয় দিক আছে ফলে সেই সব পার্বণের আয়োজনের জন্য স্বাভাবিক ভাবে পালনকারিদের মধ্যে কিছুটা ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায় সোজা ভাষায় টেনশনে থাকতে হয়যেমন কোরবানির ঈদের সময় কোরবানি মাংস আত্মীয় স্বজন এবং গরীবদের মাঝে ভালোভাবে বিলি বণ্টনের দায়িত্ব এবং তা সংরক্ষনে কাজে ব্যস্ততার দরুন দেখা যায় পরেরদিন ছাড়া আনন্দ করা যায় না, সনাতন অনুসারীদের বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজার সময় ঢাকেঈশ্বরি মন্দিরের বাইরের লম্বা লাইনে ভক্তদের দাঁড়ানো দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না এক্ষেত্রেও একই অবস্থা, নববর্ষ হচ্ছে একমাত্র এমন একটা উৎসব যেখানে পাবলিক টেনশন ফ্রী হয়ে উৎসবটাকে পুরাপুরি উপভোগ করতে পারে সে যে ধর্মের অনুসারী হোক না কেন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পে আজ গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ জর্জরিত সেখানে আমার কাছে প্রাচীন কিন্তু সর্বজনীন এই উৎসবটার পালনে সাধারণ মানুষের আবেগ আগ্রহ চমৎকার একটা ব্যাপার বলেই মনে হয়।
ধর্মীয় উৎসবের বাইরেও আছে বিজয় দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবসের কথা বলা যায় কিন্তু এদেশের রাজনীতিবিদের সভা সেমিনারের মল্লযুদ্ধের এবং জলপাই মামাদের কুঁচ কাওয়াজের নীরব দর্শকের ভূমিকায় পালন করা ছাড়া এই সব দিনে মাঙ্গ পাবলিকের আর কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে ( তবে আশার কথা এক্ষেত্রে দিন অনেকটাই বদলে গেছে বাংলা ব্লগ এবং নাঈম মামার আমাদের সময়ের মন্তব্য বিভাগের কারণে! আম জনতা ভারচুয়াল মল্ল যুদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছে) এ পর্যন্ত আমার লেখা পড়ে অনেকে বলবেন বইমেলা কি দোষ করল ! এটাকেও তো আম জনতার উৎসব বলা যায় টিভি চ্যানেলগুলার নিউজে বই মেলার উপর খবর দেখলে তো মনে হয় না যে তাতে নববর্ষ হতে কম লোক সমাগম হয় তাইলে কি আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে কি গলদ আছে ? আমার জবাব হবে ১৫ কোটির দেশের সাক্ষরতার হার নিয়ে একটু গুণভাগ করে দেখুন তাহলেই উপলব্ধি হবে মুষ্টিমেয় ঝোলাওয়ালা এবং আমার মতো যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটা খুবই ছোট অংশ তাদের ছাড়া আম জনতার মধ্যে বই মেলা নিয়ে খুব একটা উচচ্ছাস নেই তবে এখানে আমি ফুচকাওয়ালা, ফেরিওয়ালাদের গুনায় ধরছি না অর্থনীতিক কারণ হেতু তারা হয়তো এ উৎসবের প্রতি কিছুটা আগ্রহ দেখাতে পারে!
১৯৯০ দশক হতে বাংলাদেশি জাতীয়াতাবাদি শিবিরের থিন্ক ট্যাংক শফিক রেহমানের কল্যাণে ভ্যালেনটাইন ডে এর পরে মোবাইল , ক্রিম, ম্যাগি নডুলস কোম্পানী এবং প্রাইভেট চ্যানেলগুলির কারনে ওমেন ডে, ফাদার মাদার ডে সহ না কিসিমের ডে পালনের সুযোগ লাভ পাচ্ছে বাঙালী বলা যায় তবে তা এখনও ‘গুলাসান এভিনিউ‘বাসিন্দাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে তা ভবিষ্যতে কি হবে বলতে পারছি না।
আজকাল আবার ব্লগগুলিতে লক্ষ্য করছি দুই কিসিমের লোক বাংলা নববর্ষ পালনের ব্যাপক বিরোধিতা করছে প্রথম গ্রুপের বিরোধিতার কারণ মওদুদি কিংবা আরবের শেখরা এটা পালন করতে বলে নাই কাজেই বাংলা নববর্ষ পালন করা একটা বেদাতি কাম এটা আসলে হিন্দুদের কালচার এর মাধ্যমে শিবসেনা বিজেপি বাঙালী মুসলমানদের মগজ ধোলাই করছে ( আশা করি নয়া দিগন্তে এবং সংগ্রাম পত্রিকা এ নিয়ে লাদানি বাহির বের করবে কালকে) অথচ এ আবালের দল মগ বাজারের মওদুদি চটি বইয়ের বাইরে যদি একটু ইতিহাসের বইপত্র গুলি ঘাটাঘাটি করত তাহলে জানতে পারত রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের যুগে প্রবর্তন হয় বাংলা সালের। ষোড়শ শতকে আকবর 'ফসলী সন' প্রবর্তনের মাধ্যমে যে বাংলা সাল চালু করেন সময়ের বিবর্তনে সেই দিনটি এখন বাঙালির প্রাণের উৎসব পরিণত হয়েছে । আকবরের নব রতন সভার আমির ফতেহ উল্লাহ খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য হিজরি চান্দ্রবর্ষকে সৌরবর্ষের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে ফসলি সালের শুরু করেন। তিনিই হিজরিকে বাংলা সালের সঙ্গে সমন্বয় করে বৈশাখ থেকে বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন। বৈশাখ নামটি নেওয়া হয়েছিলো নক্ষত্র ‘বিশাখা' থেকে।
এখন এই লোক আমির ফতেহ উল্লাহ কি র কিংবা মোসাদের এজেন্ট ছিল কিনা তার খৎনা ঠিক মতো করা হয়েছিল কিনা তা ঠিক ভালো করে বলতে পারব না ! যারা নব বর্ষের বিরোধিতা করে তারা আজকের দিন ঘরে দরজা বন্ধ করে এ নিয়ে গবেষণা করুক।
আরেক গ্রুপের বিরোধিতার কারণটা আবার ভিন্ন তবে এদের মধ্যেও ছাগুটাইটিস রোগের লক্ষণ প্রবল বলেই মনে হয় তাদের যুক্তি যারা নব বর্ষের দিনে খালি পাঞ্জাবি পড়ে ইলিশ পান্তা ভাত ভক্ষণ করে বাকি দিন শার্ট প্যান্ট পড়ে মুঠো ফোন কানে দিয়ে ঘুরে তাদের মধ্যে আসলে বাংলা সংস্কৃতির প্রতি কোন টান নাই এগুলা আসলে সবই টাউট বাটাপার লোক বলে ফতোয়া দিচ্ছে । বিশ্বায়নের কারনে ইয়াংকি বা মার্কিনি কালচারের দাপটে বাকি জাতিগুলির কৃষ্টি সংস্কৃতিগুলি কিছুটা কোনা ঠাসা অবস্থা এ অবস্থা শিল্প উন্নত দেশ জাপান কোরিয়ার ব্যাপারে যেমন সত্য তেমনি আমাদের বেলায় সত্য একারনে যেমন কিমোর মতো এতিহ্যবাহি পোশাক জাপানে বলতে গেলে আর চোখে পরে না সব জায়গায় স্যুট টাইয়ের জয়গান, ফাস্টফুড কালচারও শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে কিন্তু নববর্ষের দিনে দেখা যায় জাপানি নর নারীরা নিজেদের এতিহ্যবাহি পোশাক পরে নিজেদের নববর্ষ পালন করছে হয়তো পরের দিনই তারা আবার সেই স্যুট কোটে ফিরে যাবে টিকে থাকার তাগিদে কিন্তু একটা দিন তারা নিজের কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রতি যে ভালোবাসা দেখালো তাকে কি স্রেফ মূল্যহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে ? বাংলা নববর্ষের দিন আমাদের পাঞ্জাবি শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ানোকে এতিহ্যবাহি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করারকে নিজের কালচার বা শিকড় কাছে যাবার এবং নবীন প্রজন্মকে এ ব্যাপারে সচেতন করার একটা চেষ্টা হিসেবেই দেখি।
প্রথমে ভেবেছিলাম নববর্ষ উপলক্ষে দু এক লাইন লিখব কিন্তু এখন দেখি অনেক বক বক করে ফেলেছি কাজেই এখন অফ গেলাম
নতুন বাংলা বছর ১৪১৭ তে সকলের জীবনে আনন্দে ভরে জাগ এ কামনা করে আজকের মতো এখানেই অফ গেলাম ।
ধর্মীয় উৎসবের বাইরেও আছে বিজয় দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবসের কথা বলা যায় কিন্তু এদেশের রাজনীতিবিদের সভা সেমিনারের মল্লযুদ্ধের এবং জলপাই মামাদের কুঁচ কাওয়াজের নীরব দর্শকের ভূমিকায় পালন করা ছাড়া এই সব দিনে মাঙ্গ পাবলিকের আর কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে ( তবে আশার কথা এক্ষেত্রে দিন অনেকটাই বদলে গেছে বাংলা ব্লগ এবং নাঈম মামার আমাদের সময়ের মন্তব্য বিভাগের কারণে! আম জনতা ভারচুয়াল মল্ল যুদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছে) এ পর্যন্ত আমার লেখা পড়ে অনেকে বলবেন বইমেলা কি দোষ করল ! এটাকেও তো আম জনতার উৎসব বলা যায় টিভি চ্যানেলগুলার নিউজে বই মেলার উপর খবর দেখলে তো মনে হয় না যে তাতে নববর্ষ হতে কম লোক সমাগম হয় তাইলে কি আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে কি গলদ আছে ? আমার জবাব হবে ১৫ কোটির দেশের সাক্ষরতার হার নিয়ে একটু গুণভাগ করে দেখুন তাহলেই উপলব্ধি হবে মুষ্টিমেয় ঝোলাওয়ালা এবং আমার মতো যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটা খুবই ছোট অংশ তাদের ছাড়া আম জনতার মধ্যে বই মেলা নিয়ে খুব একটা উচচ্ছাস নেই তবে এখানে আমি ফুচকাওয়ালা, ফেরিওয়ালাদের গুনায় ধরছি না অর্থনীতিক কারণ হেতু তারা হয়তো এ উৎসবের প্রতি কিছুটা আগ্রহ দেখাতে পারে!
১৯৯০ দশক হতে বাংলাদেশি জাতীয়াতাবাদি শিবিরের থিন্ক ট্যাংক শফিক রেহমানের কল্যাণে ভ্যালেনটাইন ডে এর পরে মোবাইল , ক্রিম, ম্যাগি নডুলস কোম্পানী এবং প্রাইভেট চ্যানেলগুলির কারনে ওমেন ডে, ফাদার মাদার ডে সহ না কিসিমের ডে পালনের সুযোগ লাভ পাচ্ছে বাঙালী বলা যায় তবে তা এখনও ‘গুলাসান এভিনিউ‘বাসিন্দাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে তা ভবিষ্যতে কি হবে বলতে পারছি না।
আজকাল আবার ব্লগগুলিতে লক্ষ্য করছি দুই কিসিমের লোক বাংলা নববর্ষ পালনের ব্যাপক বিরোধিতা করছে প্রথম গ্রুপের বিরোধিতার কারণ মওদুদি কিংবা আরবের শেখরা এটা পালন করতে বলে নাই কাজেই বাংলা নববর্ষ পালন করা একটা বেদাতি কাম এটা আসলে হিন্দুদের কালচার এর মাধ্যমে শিবসেনা বিজেপি বাঙালী মুসলমানদের মগজ ধোলাই করছে ( আশা করি নয়া দিগন্তে এবং সংগ্রাম পত্রিকা এ নিয়ে লাদানি বাহির বের করবে কালকে) অথচ এ আবালের দল মগ বাজারের মওদুদি চটি বইয়ের বাইরে যদি একটু ইতিহাসের বইপত্র গুলি ঘাটাঘাটি করত তাহলে জানতে পারত রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের যুগে প্রবর্তন হয় বাংলা সালের। ষোড়শ শতকে আকবর 'ফসলী সন' প্রবর্তনের মাধ্যমে যে বাংলা সাল চালু করেন সময়ের বিবর্তনে সেই দিনটি এখন বাঙালির প্রাণের উৎসব পরিণত হয়েছে । আকবরের নব রতন সভার আমির ফতেহ উল্লাহ খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য হিজরি চান্দ্রবর্ষকে সৌরবর্ষের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে ফসলি সালের শুরু করেন। তিনিই হিজরিকে বাংলা সালের সঙ্গে সমন্বয় করে বৈশাখ থেকে বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন। বৈশাখ নামটি নেওয়া হয়েছিলো নক্ষত্র ‘বিশাখা' থেকে।
এখন এই লোক আমির ফতেহ উল্লাহ কি র কিংবা মোসাদের এজেন্ট ছিল কিনা তার খৎনা ঠিক মতো করা হয়েছিল কিনা তা ঠিক ভালো করে বলতে পারব না ! যারা নব বর্ষের বিরোধিতা করে তারা আজকের দিন ঘরে দরজা বন্ধ করে এ নিয়ে গবেষণা করুক।
আরেক গ্রুপের বিরোধিতার কারণটা আবার ভিন্ন তবে এদের মধ্যেও ছাগুটাইটিস রোগের লক্ষণ প্রবল বলেই মনে হয় তাদের যুক্তি যারা নব বর্ষের দিনে খালি পাঞ্জাবি পড়ে ইলিশ পান্তা ভাত ভক্ষণ করে বাকি দিন শার্ট প্যান্ট পড়ে মুঠো ফোন কানে দিয়ে ঘুরে তাদের মধ্যে আসলে বাংলা সংস্কৃতির প্রতি কোন টান নাই এগুলা আসলে সবই টাউট বাটাপার লোক বলে ফতোয়া দিচ্ছে । বিশ্বায়নের কারনে ইয়াংকি বা মার্কিনি কালচারের দাপটে বাকি জাতিগুলির কৃষ্টি সংস্কৃতিগুলি কিছুটা কোনা ঠাসা অবস্থা এ অবস্থা শিল্প উন্নত দেশ জাপান কোরিয়ার ব্যাপারে যেমন সত্য তেমনি আমাদের বেলায় সত্য একারনে যেমন কিমোর মতো এতিহ্যবাহি পোশাক জাপানে বলতে গেলে আর চোখে পরে না সব জায়গায় স্যুট টাইয়ের জয়গান, ফাস্টফুড কালচারও শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে কিন্তু নববর্ষের দিনে দেখা যায় জাপানি নর নারীরা নিজেদের এতিহ্যবাহি পোশাক পরে নিজেদের নববর্ষ পালন করছে হয়তো পরের দিনই তারা আবার সেই স্যুট কোটে ফিরে যাবে টিকে থাকার তাগিদে কিন্তু একটা দিন তারা নিজের কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রতি যে ভালোবাসা দেখালো তাকে কি স্রেফ মূল্যহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে ? বাংলা নববর্ষের দিন আমাদের পাঞ্জাবি শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ানোকে এতিহ্যবাহি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করারকে নিজের কালচার বা শিকড় কাছে যাবার এবং নবীন প্রজন্মকে এ ব্যাপারে সচেতন করার একটা চেষ্টা হিসেবেই দেখি।
প্রথমে ভেবেছিলাম নববর্ষ উপলক্ষে দু এক লাইন লিখব কিন্তু এখন দেখি অনেক বক বক করে ফেলেছি কাজেই এখন অফ গেলাম
নতুন বাংলা বছর ১৪১৭ তে সকলের জীবনে আনন্দে ভরে জাগ এ কামনা করে আজকের মতো এখানেই অফ গেলাম ।
টাকা দিয়ে নিজের জন্য কফিন কেনা
বেগুনবাড়ি এবং নিমতলীর ট্রেজেডির পর সবাইকে দেখি ভূমিকম্প হলে এই অপরিকল্পিত রাজধানিতে কি পরিমাণ প্রাণহানি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে , তবে বড় ধরনের বিপর্যয়ের জন্য আমাদের ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না , ঢাকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানির চাহিদার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভূগর্ভের অভ্যন্তরে পানির লেভেলে প্রতিনিয়ত নিম্নমুখি হওয়ার প্রক্রিয়াই জন্ম দিতে পারে বেগুনবাড়ির মতো মারাত্মক সব প্রাণসংহারকারি দুর্ঘটনার।
বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব পরিসংখ্যান সংস্থার পরিচালক এটিম আসাদুজামান এর মতে ভূগর্ভের পানির লেভেল কমে গেলে একটি ইমারতের নিচের মাটি প্রাকৃতিক নিয়মেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে খালি জায়গাটাকে ফিলআপ করে কিন্তু দীর্ঘ বিরতি দেওয়ার পর হঠাৎ করে ভারী বর্ষণ হলে ভূগর্ভের নিচে নেমে যাওয়া পানি বর্ষার পানিকে উপরের দিকে ঠেলতে থাকে ফলাফল ইমারতের ফাউন্ডেশনে কম্পনের মাধ্যমে ফাটল তৈরি হওয়া যেহেতু ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাড়ির নির্মাণে ইট সিমেন্ট, চুন সুরকি সবকিছুতেই ভেজাল উপকরণ ব্যবহার করা হয় কাজেই দীর্ঘ শুষ্ক মাসের পর একটানা ভারী বর্ষণই যথেষ্ট কোন কোন এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানির জন্য।এবার আসুন ঢাকার কোন এলাকায় আপনি বসবাস করলে আপনার পিতৃ প্রদত্ত জান সবার আগে খুয়াবেন তা জানার চেষ্টা করি
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খুরশিদ আলমের মতে খুবই পুরনা দীপু টিলার মাটি বা পলিওসিন মাটি ৩৫ লক্ষ্ বছরে লেগেছে যা গঠিত হতে এ ধরনের মাটি বহুতল ভবন নির্মাণ করবার জন্য আদর্শ মতিঝিলে, সায়েদাবাদ, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, গুলসান, বনানি, ধানমন্ডি, লালমাতিয়া, বারিধারা, আগারগাও, খিলখেত অথবা মিরপুরের ১-৩, ৬, ১০-১২ সেকশনের মধ্যে যদি আপনি বাস করেন তাহলে বলা যায় আপনি কিছুটা হলেও নিরাপদ কারণ এসব এলাকার মাটি পলিসিন ধরনের মাটি কিন্তু আপনি যদি সাতারকুল, যাত্রাবাড়ি, মিরাদিয়া বাড্ডা এলাকায় বসবাস করেন তাহলে বাসা বদল করার কথা ভাবতে পারেন কারণ এই সব এলাকার মাটি হেলিসিন ধরনের যার কম্পন সহ্য করবার ক্ষমতা একদমই কম।
বর্তমানে আমার অনেক পরিচিত ব্যক্তিকেই পূর্বাচলের একটা প্লট পাবার জন্য বেশ ছুটাছুটি করতে দেখি অথচ এ বিশাল মডেল এলাকাটি গঠিত হচ্ছে হেলিসিন মাটির উপরে বালুর পর বালু ভরাট করে জমি উঁচু করে যা কোন ক্রমেই বহুতল ভবনের জন্য উপযুক্ত নয়, কাজেই অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে মানুষ কি নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য প্লটের নামে আসলে কফিন কিনছে কিনা তা একবার করে হলেও সকলের ভাবা উচিত।
বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব পরিসংখ্যান সংস্থার পরিচালক এটিম আসাদুজামান এর মতে ভূগর্ভের পানির লেভেল কমে গেলে একটি ইমারতের নিচের মাটি প্রাকৃতিক নিয়মেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে খালি জায়গাটাকে ফিলআপ করে কিন্তু দীর্ঘ বিরতি দেওয়ার পর হঠাৎ করে ভারী বর্ষণ হলে ভূগর্ভের নিচে নেমে যাওয়া পানি বর্ষার পানিকে উপরের দিকে ঠেলতে থাকে ফলাফল ইমারতের ফাউন্ডেশনে কম্পনের মাধ্যমে ফাটল তৈরি হওয়া যেহেতু ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাড়ির নির্মাণে ইট সিমেন্ট, চুন সুরকি সবকিছুতেই ভেজাল উপকরণ ব্যবহার করা হয় কাজেই দীর্ঘ শুষ্ক মাসের পর একটানা ভারী বর্ষণই যথেষ্ট কোন কোন এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানির জন্য।এবার আসুন ঢাকার কোন এলাকায় আপনি বসবাস করলে আপনার পিতৃ প্রদত্ত জান সবার আগে খুয়াবেন তা জানার চেষ্টা করি
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খুরশিদ আলমের মতে খুবই পুরনা দীপু টিলার মাটি বা পলিওসিন মাটি ৩৫ লক্ষ্ বছরে লেগেছে যা গঠিত হতে এ ধরনের মাটি বহুতল ভবন নির্মাণ করবার জন্য আদর্শ মতিঝিলে, সায়েদাবাদ, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, গুলসান, বনানি, ধানমন্ডি, লালমাতিয়া, বারিধারা, আগারগাও, খিলখেত অথবা মিরপুরের ১-৩, ৬, ১০-১২ সেকশনের মধ্যে যদি আপনি বাস করেন তাহলে বলা যায় আপনি কিছুটা হলেও নিরাপদ কারণ এসব এলাকার মাটি পলিসিন ধরনের মাটি কিন্তু আপনি যদি সাতারকুল, যাত্রাবাড়ি, মিরাদিয়া বাড্ডা এলাকায় বসবাস করেন তাহলে বাসা বদল করার কথা ভাবতে পারেন কারণ এই সব এলাকার মাটি হেলিসিন ধরনের যার কম্পন সহ্য করবার ক্ষমতা একদমই কম।
বর্তমানে আমার অনেক পরিচিত ব্যক্তিকেই পূর্বাচলের একটা প্লট পাবার জন্য বেশ ছুটাছুটি করতে দেখি অথচ এ বিশাল মডেল এলাকাটি গঠিত হচ্ছে হেলিসিন মাটির উপরে বালুর পর বালু ভরাট করে জমি উঁচু করে যা কোন ক্রমেই বহুতল ভবনের জন্য উপযুক্ত নয়, কাজেই অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে মানুষ কি নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য প্লটের নামে আসলে কফিন কিনছে কিনা তা একবার করে হলেও সকলের ভাবা উচিত।
কমিউনিটি বাংলা ব্লগ এবং ডিজিটাল ডিভাইড
বাংলা কমিউনিটি ব্লগ গুলি সম্পর্কে প্রথম ধারনা লাভ করি চিন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে, তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ক মেলায় সামু ব্লগের ষ্টলের মাধ্যমে। মেলায় হতে বাসায় এসে দুই একবার তাদের সাইটে ঢু মারলেও এরপর আর তেমন একটা ব্লগানোর উৎসাহ লাভ করিনি, পারিপার্শ্বিক নানা ধরনের ব্যস্ততার কারণে। ২০০৮ সালে কাজের চাপ কিছুটা কমার ফলে কি মনে করে হঠাৎ করে সামু ব্লগে ঢুকি এবং ব্লগার সবাকের জামাত শিবির বিষয়ক একটা ক্যাচাল পোষ্ট এবং তার নিচে করা অগণিত পাঠকের সরস সব মন্তব্য পড়ে বেশ উপভোগ করি এরপর ধীরে ধীরে দিনমজুর অমি রহমান পিয়াল ভাই সহ্ অনেক লেখকের লেখার সাথে পরিচিত হই ধীরে ধীরে ব্লগে লেখার পড়ার এক ধরনের আজব নেশায় ধরে।
পরিবারিক ভাবেই আমাদের ঘরের সবার বই পড়ার এবং লেখার অভ্যাস আছে আমার বাবা মা দুজনেই লেখক এমনকি আমাদের ঘরের মধ্যে যে পিচ্ছি ছোঁকরাটা মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করে সেও দেখি অনেক লেখালিখি করে এবং বই পড়ে একমাত্র আমিই শুধুমাত্র লেখার চেয়ে পড়াতে বেশি বিশ্বাসি হয়তো আলসেমির অভ্যাসের কারণেই! বাংলা ব্লগগুলিকে কৃতজ্ঞতা জানাই কারণ তাদের কারণে এখন অল্প বিস্তর লেখালিখিতেও উৎসাহ এসেছে।
এক সময় মানুষ পত্রিকার ভিতরে নানা বিদ্বান্ বিশেষজ্ঞদের নানা ইস্যু নিয়ে প্রকাশিত লেখাগুলি পড়ত, লেখালিখির ব্যাপারটা কিছু মুষ্টিমেয় কিছু লোকের মধ্যেই সীমিত ছিল, যশহীন খ্যাতিহীন সাধারণ মানুষদের মত প্রকাশ পত্রিকা ম্যাগাজিনের সম্পাদকের মর্জির উপর নির্ভর করত, বাংলা ব্লগগুলিকে বলা যায় প্রচলিত মিডিয়ার উপরে এতোদিন কিছু এলিট লোকদের যে মনপলি ছিল তার দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের বিকল্প প্লাটফর্ম গড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে। নতুন এ মিডিয়া মাধ্যমের উথান দেখে অনেক মুল ধারার বড় মিডিয়া হাউজও ব্লগ সাইট তৈরি করছে প্রথম আলো যার উজ্জ্বল উদাহরণ।
প্রত্যেকটা ব্লগ সাইট এর ক্রমাগত ইউজারদের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখে বলা যায় বাংলা ব্লগ তার আরম্ভের প্রথম ধাপ বা পর্যায় শেষ করেছে। কিন্তু কয়েকদিনের ব্লগের পোষ্টগুলি পড়ে মনে হল সময় এসেছে ব্লগের আরো বিকাশের স্বার্থে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা অর্থাৎ বাংলা কমিউনিটি ব্লগের ধারনাকে সারাদেশ ব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলা । বাংলা ব্লগগুলির অধিকাংশ ব্লগারই মনে হয় ঢাকায় বসবাসকারি অথবা প্রবাসি একারণে অভ্র, বিদেশি সিনেমার রপ্তানী নিয়ে, বাকশাল, আমার দেশ, মাহমুদর রহমান ফরহাদ মজাহার এই সব টপিক নিয়ে যেভাবে পোষ্ট পড়ে এবং আলোচনা হয় সেভাবে খুলনা অঞ্চলের নাগরিক সমস্যা বা ইস্যু অথবা রংপুরের কৃষকদের তার পণ্যের ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে কোন পোষ্ট পড়ে না, ঢাকায় কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি যদি ঢাকা শহরে না হয়ে রাজশাহীতে সংঘটিত হতো তাহলে আমার ধারনা হতাহতের সংখ্যা এরচেয়ে বেশি হলেও তা নিয়ে মাতামতির পরিমাণটা অনেক কম হত এটার জন্য আমি ঢাকার ব্লগার কিংবা প্রবাসি ব্লগারদের মোটেও দায়ী করব না কারণ রাজশাহীর নগরের সমস্যার কথা একমাত্র সেখানেই বসবাসকারী লোকই বুঝতে পারবে, কাজেই বাংলা ব্লগগুলিকে সত্যিকার অর্থেই তৃণমুল মানুষের কন্ঠস্বরে পরিণত করতে চাইলে মফস্বলে বসবাসকারি শিক্ষিত নাগরিকদের ব্লগ সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার কার্যক্রম অবশ্যই হাতে নেওয়া দরকার।
বিশ্বায়নের অবাধ তথ্য আদান প্রদানের এই যুগেও বাংলাদেশের তথ্য প্রবাহের ধারা একমুখি অর্থাৎ রাজধানী হতে তা মফস্বল কিন্তু মফস্বল হতে তা এখনও সেরকমভাবে শহর মুখি না এই যে ব্যবধান অসংগতি তা পূরণে বাংলা কমিউনিটি ব্লগগুলা অবশ্যই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
মোবাইল কম্পানিরগুলির সুবাদে ইন্টারনেট সুবিধা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতেও বিস্তার লাভ করছে, আমি খাগড়াছড়ি ,রাঙ্গামাটির এবং বান্দরবান জেলার অনেক পাহাড়ি উন্নয়ন কর্মির ঘরেও নেট সংযোগ দেখেছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা রাজশাহি বিশ্ববিদালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নরত অনেক উদ্যমী ছাত্র ছাত্রীকে দেখেছি যারা তাদের এলাকার সমস্যার কথা নিয়ে লিখালিখি করতে চায় কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রিক মুল ধারায় মিডিয়াগুলির কাছে তাদের এ উদ্যমের খুব একটা দাম নেই, কারণ ঢাকা কেন্দ্রিক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নাগরিকদের ঘিরেই তারা তাদের মিডিয়া ব্যাবসা পরিচালনা করতে চায়, ফলে এসব মফস্বলে নীবিন সাংবাদিকেরা যে স্বপ্ন নিয়ে এ পেশায় আসে তা ক্রমেই ফিকে হয়ে যায় , প্রতিটি মফস্বল অঞ্চলে সাংবাদিক ছাড়াও সংখ্যায় কম হলেও নানা বিষয়ে লেখালিখি করতে ভালোবাসেন এরকম একটা সম্প্রদায় আছে তাদের মফস্বলে অবস্থানের কারণে তা মূলধারার মিডিয়াতে আসছে না, অন্যদিকে অনেকের হয়তো নেট সংযোগ নেবার সামর্থ্য থাকলেও নেটে যে এভাবে লেখালিখি করা সম্ভব সেই সম্পর্কে কোন আইডিয়াই নেই।
ভাবুন তো একবার এসব মফস্বলে বসবাসকারি নাগরিকদেরকেও যদি আমরা কমিউনিটি ব্লগ আন্দোলনে সামিল করতে পারতাম মফস্বলে হতে তাদের সুখ দুঃখের কথাগুলি যদি ডিজিটাল পাতায় চলে আসত অনায়সে তাহলে কতোবড় একটা বিপ্লব ঘটে যেতো দেশে!
দেশের বিরাজমান নানা ধরনের সমস্যা অনাচার অসংগতি নিয়ে ব্লগে অধিকাংশ সময় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলা আর রাষ্ট্রযন্ত্রের নীতিনির্ধারকদের গালাগালি দিয়ে ব্লগারদের নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুর করা থাকে না, কিন্তু মফস্বল ও শহুরের নাগরিকদের মধ্যে যে ডিজিটাল ডিভাইড কাজ করেছে তাকে কিছুটা হলেও দূর করার কাজে ব্লগারেরা কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারি কীভাবে করা যাবে তার উত্তর দিতে নিচে একটা প্রাথমিক রূপরেখা প্রণয়ন করলাম –
১। সুচনার দিকে প্রবাসি ও ঢাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে একটা অর্থ তহবিল করা যার মাধ্যমে যেসব মফস্বল অঞ্চলে নেট সংযোগ এখন বিদ্যমান সেখানকার সাংবাদিকদের এবং লেখালিখি সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কে কমিউনিটি ব্লগ সম্পর্কে ধারনা প্রদান করা কীভাবে পোষ্ট দিতে হবে সে সম্পর্কে কর্মশালার আয়োজন করা
২। যেসব মফস্বল অঞ্চলে নেট সংযোগ আছে এরকম অঞ্চলের ইস্কুল কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ছাত্র ছাত্রিদেরকেও বাংলা কমিউনিটি ব্লগ ধারনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া
৩। উপরের উদ্যোগগুলি সফল হলে সে অঞ্চলের ব্লগারদের নিয়ে ফোরাম গঠন করা
৪। স্কুল-কলেজে ব্লগকে সৃজনশীলতার মাধ্যম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া যায়। ইন্টারনেট মানেই যে পর্ন বা সময় নষ্ট করা নয়; বরং তথ্য-প্রযুক্তির সর্বাধুনিক উপায়, এই সচেতনতা সৃষ্টি দরকার।
উপরের কয়েকটা আমার মাথায় আসা তৎক্ষণাৎ আইডিয়া, ব্লগে আলোচনা সাপেক্ষে আরও অনেক আইডিয়া এর সাথে সংযোজন বিয়োজন করা যায়। আমার ব্লগকে আমার সব সময়ই অন্য ব্লগগুলি হতে স্বাতন্ত্র্য বলে মনে হয়েছে কারণ বাংলা ব্লগে সর্ব প্রথম নো মডারেশন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা, ব্লগের লেখাগুলি নিয়ে প্রথম একুশে বইমেলায় বই বের করা, যুদ্ধে অপরাধীদের বিচারে জনসচেতনা মতো উদ্যোগ নিয়েছে আমার ব্লগ। তাই এক্ষেত্রেও আমার ব্লগের সাথে জড়িতরা অগ্রণী কোন পদক্ষেপ নিবেন এটিই কামনা করি।
পরিবারিক ভাবেই আমাদের ঘরের সবার বই পড়ার এবং লেখার অভ্যাস আছে আমার বাবা মা দুজনেই লেখক এমনকি আমাদের ঘরের মধ্যে যে পিচ্ছি ছোঁকরাটা মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করে সেও দেখি অনেক লেখালিখি করে এবং বই পড়ে একমাত্র আমিই শুধুমাত্র লেখার চেয়ে পড়াতে বেশি বিশ্বাসি হয়তো আলসেমির অভ্যাসের কারণেই! বাংলা ব্লগগুলিকে কৃতজ্ঞতা জানাই কারণ তাদের কারণে এখন অল্প বিস্তর লেখালিখিতেও উৎসাহ এসেছে।
এক সময় মানুষ পত্রিকার ভিতরে নানা বিদ্বান্ বিশেষজ্ঞদের নানা ইস্যু নিয়ে প্রকাশিত লেখাগুলি পড়ত, লেখালিখির ব্যাপারটা কিছু মুষ্টিমেয় কিছু লোকের মধ্যেই সীমিত ছিল, যশহীন খ্যাতিহীন সাধারণ মানুষদের মত প্রকাশ পত্রিকা ম্যাগাজিনের সম্পাদকের মর্জির উপর নির্ভর করত, বাংলা ব্লগগুলিকে বলা যায় প্রচলিত মিডিয়ার উপরে এতোদিন কিছু এলিট লোকদের যে মনপলি ছিল তার দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের বিকল্প প্লাটফর্ম গড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে। নতুন এ মিডিয়া মাধ্যমের উথান দেখে অনেক মুল ধারার বড় মিডিয়া হাউজও ব্লগ সাইট তৈরি করছে প্রথম আলো যার উজ্জ্বল উদাহরণ।
প্রত্যেকটা ব্লগ সাইট এর ক্রমাগত ইউজারদের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখে বলা যায় বাংলা ব্লগ তার আরম্ভের প্রথম ধাপ বা পর্যায় শেষ করেছে। কিন্তু কয়েকদিনের ব্লগের পোষ্টগুলি পড়ে মনে হল সময় এসেছে ব্লগের আরো বিকাশের স্বার্থে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা অর্থাৎ বাংলা কমিউনিটি ব্লগের ধারনাকে সারাদেশ ব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলা । বাংলা ব্লগগুলির অধিকাংশ ব্লগারই মনে হয় ঢাকায় বসবাসকারি অথবা প্রবাসি একারণে অভ্র, বিদেশি সিনেমার রপ্তানী নিয়ে, বাকশাল, আমার দেশ, মাহমুদর রহমান ফরহাদ মজাহার এই সব টপিক নিয়ে যেভাবে পোষ্ট পড়ে এবং আলোচনা হয় সেভাবে খুলনা অঞ্চলের নাগরিক সমস্যা বা ইস্যু অথবা রংপুরের কৃষকদের তার পণ্যের ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে কোন পোষ্ট পড়ে না, ঢাকায় কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি যদি ঢাকা শহরে না হয়ে রাজশাহীতে সংঘটিত হতো তাহলে আমার ধারনা হতাহতের সংখ্যা এরচেয়ে বেশি হলেও তা নিয়ে মাতামতির পরিমাণটা অনেক কম হত এটার জন্য আমি ঢাকার ব্লগার কিংবা প্রবাসি ব্লগারদের মোটেও দায়ী করব না কারণ রাজশাহীর নগরের সমস্যার কথা একমাত্র সেখানেই বসবাসকারী লোকই বুঝতে পারবে, কাজেই বাংলা ব্লগগুলিকে সত্যিকার অর্থেই তৃণমুল মানুষের কন্ঠস্বরে পরিণত করতে চাইলে মফস্বলে বসবাসকারি শিক্ষিত নাগরিকদের ব্লগ সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার কার্যক্রম অবশ্যই হাতে নেওয়া দরকার।
বিশ্বায়নের অবাধ তথ্য আদান প্রদানের এই যুগেও বাংলাদেশের তথ্য প্রবাহের ধারা একমুখি অর্থাৎ রাজধানী হতে তা মফস্বল কিন্তু মফস্বল হতে তা এখনও সেরকমভাবে শহর মুখি না এই যে ব্যবধান অসংগতি তা পূরণে বাংলা কমিউনিটি ব্লগগুলা অবশ্যই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
মোবাইল কম্পানিরগুলির সুবাদে ইন্টারনেট সুবিধা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতেও বিস্তার লাভ করছে, আমি খাগড়াছড়ি ,রাঙ্গামাটির এবং বান্দরবান জেলার অনেক পাহাড়ি উন্নয়ন কর্মির ঘরেও নেট সংযোগ দেখেছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা রাজশাহি বিশ্ববিদালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নরত অনেক উদ্যমী ছাত্র ছাত্রীকে দেখেছি যারা তাদের এলাকার সমস্যার কথা নিয়ে লিখালিখি করতে চায় কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রিক মুল ধারায় মিডিয়াগুলির কাছে তাদের এ উদ্যমের খুব একটা দাম নেই, কারণ ঢাকা কেন্দ্রিক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নাগরিকদের ঘিরেই তারা তাদের মিডিয়া ব্যাবসা পরিচালনা করতে চায়, ফলে এসব মফস্বলে নীবিন সাংবাদিকেরা যে স্বপ্ন নিয়ে এ পেশায় আসে তা ক্রমেই ফিকে হয়ে যায় , প্রতিটি মফস্বল অঞ্চলে সাংবাদিক ছাড়াও সংখ্যায় কম হলেও নানা বিষয়ে লেখালিখি করতে ভালোবাসেন এরকম একটা সম্প্রদায় আছে তাদের মফস্বলে অবস্থানের কারণে তা মূলধারার মিডিয়াতে আসছে না, অন্যদিকে অনেকের হয়তো নেট সংযোগ নেবার সামর্থ্য থাকলেও নেটে যে এভাবে লেখালিখি করা সম্ভব সেই সম্পর্কে কোন আইডিয়াই নেই।
ভাবুন তো একবার এসব মফস্বলে বসবাসকারি নাগরিকদেরকেও যদি আমরা কমিউনিটি ব্লগ আন্দোলনে সামিল করতে পারতাম মফস্বলে হতে তাদের সুখ দুঃখের কথাগুলি যদি ডিজিটাল পাতায় চলে আসত অনায়সে তাহলে কতোবড় একটা বিপ্লব ঘটে যেতো দেশে!
দেশের বিরাজমান নানা ধরনের সমস্যা অনাচার অসংগতি নিয়ে ব্লগে অধিকাংশ সময় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলা আর রাষ্ট্রযন্ত্রের নীতিনির্ধারকদের গালাগালি দিয়ে ব্লগারদের নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুর করা থাকে না, কিন্তু মফস্বল ও শহুরের নাগরিকদের মধ্যে যে ডিজিটাল ডিভাইড কাজ করেছে তাকে কিছুটা হলেও দূর করার কাজে ব্লগারেরা কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারি কীভাবে করা যাবে তার উত্তর দিতে নিচে একটা প্রাথমিক রূপরেখা প্রণয়ন করলাম –
১। সুচনার দিকে প্রবাসি ও ঢাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে একটা অর্থ তহবিল করা যার মাধ্যমে যেসব মফস্বল অঞ্চলে নেট সংযোগ এখন বিদ্যমান সেখানকার সাংবাদিকদের এবং লেখালিখি সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কে কমিউনিটি ব্লগ সম্পর্কে ধারনা প্রদান করা কীভাবে পোষ্ট দিতে হবে সে সম্পর্কে কর্মশালার আয়োজন করা
২। যেসব মফস্বল অঞ্চলে নেট সংযোগ আছে এরকম অঞ্চলের ইস্কুল কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ছাত্র ছাত্রিদেরকেও বাংলা কমিউনিটি ব্লগ ধারনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া
৩। উপরের উদ্যোগগুলি সফল হলে সে অঞ্চলের ব্লগারদের নিয়ে ফোরাম গঠন করা
৪। স্কুল-কলেজে ব্লগকে সৃজনশীলতার মাধ্যম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া যায়। ইন্টারনেট মানেই যে পর্ন বা সময় নষ্ট করা নয়; বরং তথ্য-প্রযুক্তির সর্বাধুনিক উপায়, এই সচেতনতা সৃষ্টি দরকার।
উপরের কয়েকটা আমার মাথায় আসা তৎক্ষণাৎ আইডিয়া, ব্লগে আলোচনা সাপেক্ষে আরও অনেক আইডিয়া এর সাথে সংযোজন বিয়োজন করা যায়। আমার ব্লগকে আমার সব সময়ই অন্য ব্লগগুলি হতে স্বাতন্ত্র্য বলে মনে হয়েছে কারণ বাংলা ব্লগে সর্ব প্রথম নো মডারেশন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা, ব্লগের লেখাগুলি নিয়ে প্রথম একুশে বইমেলায় বই বের করা, যুদ্ধে অপরাধীদের বিচারে জনসচেতনা মতো উদ্যোগ নিয়েছে আমার ব্লগ। তাই এক্ষেত্রেও আমার ব্লগের সাথে জড়িতরা অগ্রণী কোন পদক্ষেপ নিবেন এটিই কামনা করি।
বোকার বাক্স নিয়ে কিছু বকবকানি
যতদূর আমার মনে পড়ে ডিশ টিভির সংস্কৃতি বাংলাদেশে ৯২ সালের দিকে প্রবেশ করলেও তখন পর্যন্ত বলতে গেলে তা উচ্চবিত্তের বিলাসিতার চিজ বলেই সকলের কাছে গণ্য হতো। আমাদের বাসায় সেই সময় ডিস কানেকশন ছিল না বিটিভির আলিফ লায়লা কিংবা সোর্ড অফ টিপু সুলতানই ছিল বিনোদনের উৎস। পরবর্তীতে অবশ্য ক্যাবেল মামুদের কল্যাণে ডিস কানেকশনও মধ্যবিত্তের এর নাগালে ধীরে ধীরে আসতে থাকে এখন তো খাগড়াছড়ির মতো প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলেও ডিস কানেকশন চলে গেছে! শহুরে মধ্যবিত্তের কাছে পানি, বিদ্যুৎ এর মতো ডিস কানেকশনও একটা অপরিহার্য জিনিসেও পরিণত হয়েছে আজ। কাজেই ডিসের কানেকশনকে আর আগের মতো কেউ বিলাসিতার জিনিস হিসেবে কেউ কটাক্ষ করে না ।
এখন অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য শুনালেও ডিস কালচারের প্রথম দিকে কিন্তু হিন্দি টিভি চ্যানেলগুলা তেমন একটা ভাত পায়নি এদেশের দর্শকদের কাছে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত লোকজন ষ্টার প্লাস অপেক্ষা ষ্টার মুভিজে কি দেখল তা নিয়ে আলোচনা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত(অবশ্য জি হরর শো ব্যাপারটা আলাদা ছোট ছিলাম বলে তা দেখার সাহস হতো না মিউজিক শুনলেই সোফার তলায় আমার অবস্থান!) আমাদের ইংরেজি না জানা মা খালাদের কাছেও কোলকাতার বা জি সিনেমার বাংলা সিনেমাগুলাই ছিল বিনোদনের উৎস। বাংলাদেশের নিজস্ব চানেল বলতে আজিজ ভাইয়ের ATV তে নাসির গোল্ড বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে কিছু বাংলা সিনেমা!
স্বভাবতই প্রশ্ন আসে হিন্দি চানেলগুলা কি এমন যাদু করল যে তাদের সেই অচ্ছুৎ অবস্থা হতে আজকে তারা বলতে গেলে আমাদের মধ্যবিত্তের বিনোদনের একটা বড় অংশ দখল করে আছে। আমাদের মা খালরা যারা আগে টিভির খুব একটা বসত না তাদের হাত থেকে এখন রিমোট দখল করতে রীতিমতো লড়াই করতে হয় এ অবস্থা শুধু আমাদের নয় নেপাল, আফগান এমনকি ভারতের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পাকিস্তানেরও হিন্দি চানেলগুলা দর্শকদের বিনোদনের একটা বড় অংশ দখল করে আছে।
হিন্দি চানেলগুলার সাফল্যের এই রহস্য বুঝতে হলে একটা টিভি শো কথা আমাদের বিশেষ করে জানতে হবে যা হিন্দি চানেলগুলাকে দক্ষিণ এশীয়ার দর্শকদের মাঝে আসন গেঁড়ে নিতে সাহায্য করেছে। যারা নিয়মিত টিভি দেখেন তার হয়তো ইতিমধ্যেই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন আমি কোন শোর কথা বলতে চাচ্ছি সেই টিভি শো টার নাম হল কোন বনেগা কোররপতি বা সংক্ষেপে কেবিসি যার হোস্ট ছিলেন অভিনেতা অমিতাভ বচন, ২০০০ সালের ষ্টার প্লাস এ টিভি শো আরম্ভ করে।
যেখানে বেঁচে থাকার জন্য অর্থ উপার্জনের তাগিদে দক্ষিণ এশীয়ার জনগণকে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে নামতে হয় প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামে সেখানে এক একটা প্রশ্নের জবাব দিয়ে লাখপতি কোটিপতি হওয়ার সুযোগ দেওয়া টিভি শোর ভূমিধস জনপ্রিয়তা পাওয়ারই কথা হয়েছিলোও তাই শুনা যায় কেবিসি অনুষ্ঠান যখন ভারতে আরম্ভ হতো সারা ভারতের রাজপথ ফাঁকা হয়ে যেতো! কারণ সবাই তখন টিভির সামনে। যদিও বাংলাদেশের লোকদের এ টিভি শোতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না কিন্তু চোখের সামনে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লক্ষপতি কোটপতি বনে যাওয়ার আজব এই খেলা এদেশের টিভি দর্শকদের মাঝে ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ! কাজ কাম ফেলে এ টিভি শোটা দেখার লোক এদেশেও কম ছিল না। তাই বলা যায় কেবিসি হিন্দি চানেলগুলাকে টিভির প্রাইম স্লট দখল করতে সাহায্য করেছিল।
সেই সময় কেবিসির প্রত্যেকটা পর্ব আমিও পাগলের মতো দেখতাম আর মনে মনে ভাবতাম শালা আমি যদি অমিতাভ এর কেবিসিতে হট সিটে বসার সুযোগ পেতাম আমার কোটিপতি হওয়া ঠেকায় কে ? অমিতাভ এবং ষ্টার প্লাস আমার সে ইচ্ছার কদর না করলেও আজকে পত্রিকা পরে জানলাম বাংলা চানেল দেশ টিভি এ টিভি শোটা করার জন্য জন্য যুক্তরাজ্য ভিত্তিক হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরো অনুষ্ঠান তৈরি হবে। আর তা হবে বাংলায়। বাংলাদেশের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে সাজানো হবে সবকিছু। এর কারিগরি দিকে মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে শতভাগ মিল রাখার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে একটি দল আসবে। ঢাকায় এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডেলটা বেকে অনুমতি দিয়েছে হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নিয়ার কর্তৃপক্ষ। তারাই কারিগরি দিক নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের সহযোগিতা করবে রেড ডট। এ পর্যন্ত ১০১টি দেশের টিভি চ্যানেলে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে তৈরি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় ১০২তম দেশ। , এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই অনুষ্ঠানটি আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
ভারতের কেবিসিতে হর্ষবর্ধন নামে একজন আইএস পরীক্ষার্থী( যাকে আমরা বাংলায় বলতে পারি বিসিএস) প্রথম পুরস্কার জিততে সক্ষম হয়েছিল। যারা ২৮ বা ২৭ বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন কিন্তু সফল হননি অথবা পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের মধ্যে কেউ বাজিমাত করতে পারেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
দেশ টিভির হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নিয়ার এর বাংলা ভার্সন কয়জনকে কোটিপতি বানাবে তা আগাম বলতে পারব না তবে এই টিভি শোকে নিয়ে পাকা গণকের মতো তিনটা ভবিষ্যৎবানী করতে পারি এক কেউ কোটিপতি না হোক গ্রামীণ, বাংলা লিংক, ওয়ারিদ, দেশ টিভি যে এ টিভি শোর কল্যাণে কোটিপতি হয়ে যাবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। দুই সঠিক পরিকল্পনা নিলে ভারতের কেবিসি কারণে আমাদের যে বিশাল দর্শক শ্রেণী হিন্দি চানেলমুখি হয়েছিল আশা করা যায় আমাদের কেবিসি তাদের বাংলা চানেলগুলামুখি করবে। তিন এনিয়ে ব্লগে ব্লগে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠবে সামুতে এ নিয়ে ফান পুষ্ট পড়বে, সচুতে কোন আতেল ব্লগার এ টিভি শোর কল্যাণে কীভাবে আমাদের বাঙালি লোকায়ত চেতনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে পোষ্ট লম্বা পোষ্ট ঝাড়বে , আর আমুতে আমি তখন বলব এ বিষয় নিয়ে দেওয়া প্রথম পোষ্টটা কিন্তু আমার ছিল !
এখন অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য শুনালেও ডিস কালচারের প্রথম দিকে কিন্তু হিন্দি টিভি চ্যানেলগুলা তেমন একটা ভাত পায়নি এদেশের দর্শকদের কাছে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত লোকজন ষ্টার প্লাস অপেক্ষা ষ্টার মুভিজে কি দেখল তা নিয়ে আলোচনা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত(অবশ্য জি হরর শো ব্যাপারটা আলাদা ছোট ছিলাম বলে তা দেখার সাহস হতো না মিউজিক শুনলেই সোফার তলায় আমার অবস্থান!) আমাদের ইংরেজি না জানা মা খালাদের কাছেও কোলকাতার বা জি সিনেমার বাংলা সিনেমাগুলাই ছিল বিনোদনের উৎস। বাংলাদেশের নিজস্ব চানেল বলতে আজিজ ভাইয়ের ATV তে নাসির গোল্ড বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে কিছু বাংলা সিনেমা!
স্বভাবতই প্রশ্ন আসে হিন্দি চানেলগুলা কি এমন যাদু করল যে তাদের সেই অচ্ছুৎ অবস্থা হতে আজকে তারা বলতে গেলে আমাদের মধ্যবিত্তের বিনোদনের একটা বড় অংশ দখল করে আছে। আমাদের মা খালরা যারা আগে টিভির খুব একটা বসত না তাদের হাত থেকে এখন রিমোট দখল করতে রীতিমতো লড়াই করতে হয় এ অবস্থা শুধু আমাদের নয় নেপাল, আফগান এমনকি ভারতের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পাকিস্তানেরও হিন্দি চানেলগুলা দর্শকদের বিনোদনের একটা বড় অংশ দখল করে আছে।
হিন্দি চানেলগুলার সাফল্যের এই রহস্য বুঝতে হলে একটা টিভি শো কথা আমাদের বিশেষ করে জানতে হবে যা হিন্দি চানেলগুলাকে দক্ষিণ এশীয়ার দর্শকদের মাঝে আসন গেঁড়ে নিতে সাহায্য করেছে। যারা নিয়মিত টিভি দেখেন তার হয়তো ইতিমধ্যেই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন আমি কোন শোর কথা বলতে চাচ্ছি সেই টিভি শো টার নাম হল কোন বনেগা কোররপতি বা সংক্ষেপে কেবিসি যার হোস্ট ছিলেন অভিনেতা অমিতাভ বচন, ২০০০ সালের ষ্টার প্লাস এ টিভি শো আরম্ভ করে।
যেখানে বেঁচে থাকার জন্য অর্থ উপার্জনের তাগিদে দক্ষিণ এশীয়ার জনগণকে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে নামতে হয় প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামে সেখানে এক একটা প্রশ্নের জবাব দিয়ে লাখপতি কোটিপতি হওয়ার সুযোগ দেওয়া টিভি শোর ভূমিধস জনপ্রিয়তা পাওয়ারই কথা হয়েছিলোও তাই শুনা যায় কেবিসি অনুষ্ঠান যখন ভারতে আরম্ভ হতো সারা ভারতের রাজপথ ফাঁকা হয়ে যেতো! কারণ সবাই তখন টিভির সামনে। যদিও বাংলাদেশের লোকদের এ টিভি শোতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না কিন্তু চোখের সামনে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লক্ষপতি কোটপতি বনে যাওয়ার আজব এই খেলা এদেশের টিভি দর্শকদের মাঝে ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ! কাজ কাম ফেলে এ টিভি শোটা দেখার লোক এদেশেও কম ছিল না। তাই বলা যায় কেবিসি হিন্দি চানেলগুলাকে টিভির প্রাইম স্লট দখল করতে সাহায্য করেছিল।
সেই সময় কেবিসির প্রত্যেকটা পর্ব আমিও পাগলের মতো দেখতাম আর মনে মনে ভাবতাম শালা আমি যদি অমিতাভ এর কেবিসিতে হট সিটে বসার সুযোগ পেতাম আমার কোটিপতি হওয়া ঠেকায় কে ? অমিতাভ এবং ষ্টার প্লাস আমার সে ইচ্ছার কদর না করলেও আজকে পত্রিকা পরে জানলাম বাংলা চানেল দেশ টিভি এ টিভি শোটা করার জন্য জন্য যুক্তরাজ্য ভিত্তিক হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরো অনুষ্ঠান তৈরি হবে। আর তা হবে বাংলায়। বাংলাদেশের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে সাজানো হবে সবকিছু। এর কারিগরি দিকে মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে শতভাগ মিল রাখার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে একটি দল আসবে। ঢাকায় এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডেলটা বেকে অনুমতি দিয়েছে হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নিয়ার কর্তৃপক্ষ। তারাই কারিগরি দিক নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের সহযোগিতা করবে রেড ডট। এ পর্যন্ত ১০১টি দেশের টিভি চ্যানেলে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে তৈরি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় ১০২তম দেশ। , এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই অনুষ্ঠানটি আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
ভারতের কেবিসিতে হর্ষবর্ধন নামে একজন আইএস পরীক্ষার্থী( যাকে আমরা বাংলায় বলতে পারি বিসিএস) প্রথম পুরস্কার জিততে সক্ষম হয়েছিল। যারা ২৮ বা ২৭ বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন কিন্তু সফল হননি অথবা পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের মধ্যে কেউ বাজিমাত করতে পারেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
দেশ টিভির হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নিয়ার এর বাংলা ভার্সন কয়জনকে কোটিপতি বানাবে তা আগাম বলতে পারব না তবে এই টিভি শোকে নিয়ে পাকা গণকের মতো তিনটা ভবিষ্যৎবানী করতে পারি এক কেউ কোটিপতি না হোক গ্রামীণ, বাংলা লিংক, ওয়ারিদ, দেশ টিভি যে এ টিভি শোর কল্যাণে কোটিপতি হয়ে যাবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। দুই সঠিক পরিকল্পনা নিলে ভারতের কেবিসি কারণে আমাদের যে বিশাল দর্শক শ্রেণী হিন্দি চানেলমুখি হয়েছিল আশা করা যায় আমাদের কেবিসি তাদের বাংলা চানেলগুলামুখি করবে। তিন এনিয়ে ব্লগে ব্লগে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠবে সামুতে এ নিয়ে ফান পুষ্ট পড়বে, সচুতে কোন আতেল ব্লগার এ টিভি শোর কল্যাণে কীভাবে আমাদের বাঙালি লোকায়ত চেতনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে পোষ্ট লম্বা পোষ্ট ঝাড়বে , আর আমুতে আমি তখন বলব এ বিষয় নিয়ে দেওয়া প্রথম পোষ্টটা কিন্তু আমার ছিল !
ড্রেসনকঃ ভুলে যাওয়া একটি ইতিহাস
যারা জীবনে কখনও আমেরিকা কিংবা ব্রিটিশ দূতবাসে ভিসার জন্য চক্কর দিয়েছেন তারা সবাই কম বেশি উপলব্ধি করতে পেরেছেন একটি উন্নত দেশে মাইগ্রেট করবার জন্য বাংলাদেশের মানুষেরা কি কঠিন পরিশ্রম অর্থ এবং সময় ব্যয় করে। দেশের নানারকম সমস্যা অভাব অনটনের দুষ্ট চক্র হতে বের হওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে একটি উন্নত দেশে যাওয়ার জন্য গরিব দেশের মানুষদের এ প্রাণপণ চেষ্টা পৃথিবীর সব জায়গাতেই কমবেশি দেখা যায়, কিন্তু আমেরিকার ভারজিনিয়ার জেমস যশেফ ড্রেসনক এই প্রচলিত নিয়মকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়েছেন নর্থ কোরিয়াতে মাইগ্রেট করে। তার এই নর্থ কোরিয়া মাইগ্রেট ও সেটেলট হবার সত্য কাহিনীর মধ্যে যেমন আছে অনেক থ্রিলার তেমনি আছে অনেক ট্রেজিডির উপাদান।
ড্রেসনকের জন্ম হয় ১৯৫১ সালে তবে তার শৈশব জীবন মোটেও সুখকর ছিল না পাঁচ বছর বয়সকালেই ড্রেসনকের মা বাবার মধ্যে ডিভোর্স হয় তার ৯ বছরের বড় ভাইকে নিয়ে তার মা তাকে বাবার কাছে সঁপে পেনসিলভানিয়াতে চলে যান, বাবার আশ্রয়ে কিছুদিন থাকলেও তার কৈশরে পা রাখার সাথে সাথে তার বাবা তাকে এতিম খানায় রেখে আসেন, ড্রেসনক সেখানে কিছুকাল অতিবাহিত করলেও তার বয়স যখন ১৭ হয় তখন আর্মিতে নিজের নাম লিখান, আর্মিতে কর্মরত অবস্থায় ড্রেসনক এক সুন্দরী মার্কিন ললনাকে বিয়ে করেন প্রথমদিকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হলেও ড্রেসনকে তার পেশাগত কারণে ২ বছরের জন্য জার্মানিতে গমন করেন জার্মানি হতে ফিরে ড্রেসনক উপলব্ধি করেন তার স্ত্রী অন্য এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত যা ড্রেসনকে জীবনের প্রতি চরম হতাশাগ্রস্ত করে তুলে।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জীবনের সেই সময়ে ড্রেসনক মার্কিন আর্মিতে প্রাইভেট ফার্স্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, এরই মধ্যে ১৯৬০ সালে নর্থ কোরিয়া এবং সাউথ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হলে আর্মি তাকে নর্থ কোরিয়া এবং সাউথ কোরিয়ার মধ্যবর্তী Korean Demilitarized Zone এ প্রেরণ করে, ড্রেসনক সেখানে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করবার সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিদের সাথে নানা বিষয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন, এক পর্যায়ে অতিরিক্ত মধ্যপান, জুয়া খেলা নানা অভিযোগে তাকে কোর্ট মর্ষাল করবার প্রস্তুতি নেয় আর্মি । কিন্তু ড্রেসনক তা আগে ভাগেই টের পান এবং সীমন্ত ক্রস করে নর্থ কোরিয়া পালিয়ে গিয়ে নতুন করে জীবন আরম্ভ করবার পরিকল্পনা করেন , ১৯৬২ সালের ১৫ আগস্ট লাঞ্চ বিরতির সময়ে মিলিটারী ক্যাম্প হতে বের হয়ে সবার অজান্তে পায়ে হেঁটে বর্ডার ক্রস করে নর্থ কোরিয়াতে যান এবং নর্থ কোরিয়ার সৈন্যদের কাছে ধরার দেওয়ার মাধ্যমে আরম্ভ হয় ড্রেসনকের জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের।
বিশ্ব দরবারে আমেরিকান সরকারের কাছে ড্রেসনকের এভাবে নর্থ কোরিয়াতে পালিয়ে যাওয়াটা চরম একটি বিব্রতকর ঘটনা হলেও নর্থ কোরিয়ার সরকারের কাছে তা ছিল একটি বিরাট আদর্শিক বিজয় একারনে তারা ড্রেসনককে সাদরেই নিজের দেশে গ্রহণ করে জামাই আদরে রাখে, ড্রেসনকের পরে অনুরূপ ভাবে ল্যারি এলেন, জেরি পারিস, চালস রবাট নামে চারজন আমেরিকান সৈন্য নিজেদের পক্ষত্যাগ করে নর্থ কোরিয়াতে পারি জমায় যা নর্থ কোরিয়ার সরকারকে আমেরিকা বিরোধি প্রচার চালানোর সুযোগ করে দেয়, এ চার আমেরিকানকে নর্থ কোরিয়ান সরকার নিজেদের টিভি রেডিও ম্যাগাজিনে আমেরিকা বিরোধি প্রোপাগান্ডার উপাদানে পরিণত করে ।
প্রথম দিকে ড্রেসনক সহ বাকি আমেরিকানরা নর্থ কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে বিলাসি জীবন যাপন করলেও কিছু দিনের মধ্যে লোকালদের সাথে ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বৈসাদৃশ্য সহ্ নানা সমস্যার কারণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ইউরোপে পালানোর পরিকলপনা নেয় ১৯৬৬ সালে এই লক্ষ্যে তারা সোভিয়েত দূতাবাসের কাছে আশ্রয় চায় কিন্তু দূতবাসের কর্মচারিরা তাদের নর্থ কোরিয়ার সরকারের কাছে হস্তান্তর করে দেয় চার মার্কিনির এই হটকারিতার জন্য সরকার প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে গৃহবন্দী করে মগজ ধোলাই বা political indoctrination করবার উদোগ নেয় ( একটি রুমের মধ্যে আটকে রেখে ২৪ ঘণ্টা রেডিও শুনতে বাধ্য করা, কঠিন কায়িক শ্রম প্রদানে বাধ্য করা, সরকারি পুস্তিকা লিফলেট মুখস্থ করতে বাধ্য করা)
ড্রেসনকের বাকি সহকর্মিরা এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও এমনকি একজন আত্মহত্যা করলেও, ড্রেসনক পুরা বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ রূপে গ্রহণ করেন এবং জীবনকে নতুনভাবে আরম্ভ করবার দৃর সংকল্প নেন ধীরে ধীরে তিনি কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি আয়ত্ত করতে থাকেন কঠিন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে । তার এই চেষ্টায় নর্থ কোরিয়ান সরকার সন্তুষ্ট হয়ে তার গৃহবন্দী অবস্থার অবসান করে এবং পিয়ন ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ভাষা শিক্ষার দায়িত্ব প্রদান করে, শিক্ষকতার পাশাপশি, ড্রেসনক বহু কোরিয়ান সিনেমাতে মার্কিন খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন ১৯৭৮ সালে Usung Heroes সিনেমায় তার খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সমগ্র নর্থ কোরিয়ায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
ড্রেসনক বর্তমানে পিয়ন ইয়ং এর একটি এপার্টমেন্ট কোরিয়ায়ন স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত জীবন যাপন করছেন। ৭০ দশকের পরে ড্রেসনকের কথা পশ্চিমা মিডিয়া ভুলে গেলেও ২০০৬ সালে ব্রিটিশ তথ্যচিত নির্মাতা ডানিয়েল এবং নিকলাস ড্রেসনকের জীবনীর উপর ভিত্তি করে Crossing the Line নামে একটি ডকুমেণ্টরী তৈরি করেন, এর ফলে ড্রেসনক আবারও পশ্চিমা মিডিয়ায় লাইম লাইটে চলে আসেন।
সম্প্রীতি তিনি মিডিয়াতে দেওয়া এক সাক্ষ্যতকারে বলেন, জীবনের এই সন্ধিক্ষনে এসে তিনি আর নতুন করে পশ্চিমা দেশে যেতে দিতে আগ্রহি নন, তিনি জানান বর্তমানে তার অবসর সময় কাটছে লেকে মাছ ধরে।
দেশের মেরুদণ্ড গড়ার কারিগরদের সবার আগে মেরামত করবার প্রয়োজনীয়তা
একসময় রমনাতে থাকার কারণে বিকাল বেলা হেঁটে বেইলি রোডে যাওয়া এবং সেখানকার ফাস্ট ফুডের এবং বইয়ের দোকানগুলাতে ঢু মারা আমার বলতে গেলে একপ্রকার রুটিনে পরিণত হয়ে গিয়েছিল, বেইলি রোডেই বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিদ্যাপীঠ বলে পরিচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অবস্থান যার পরিচয় নতুন করে দেওয়ার পরিচয় নেই, সকল সচেতন মেয়ের মা বাবাই সেখানে তাদের মেয়েকে পড়াতে চান।
ইস্কুল ভর্তি যুদ্ধের সময়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনের উৎকণ্ঠিত অভিভাবক এবং ছাত্রীদের সারি জীবনে অনেকবার দেখার সুযোগও হয়েছে, আমাদের পরিবারে কোন বোন না থাকলেও পরিচিত এক আত্মীয়ার কন্যার সেখানে ভর্তি না হতে পারার বেদানা বিদুর চেহারা দেখেই কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের একটি সিটের কতখানি দাম, বাংলাদেশের শিক্ষা সচেতন পরিবারগুলির এই আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের কিছু শিক্ষক ও কর্মচারি অনেক ধরেই বাণিজ্যের বেসাতি করে আসছিল কয়েক বছর ধরেই টাকা নিয়ে ছাত্রির ভর্তির সিণ্ডিকেট, বিদ্যালয়য়ে নানা কাজের টেন্ডারে দুর্নীতি নিয়ে নানা কথা কানে আসছিল পরিচিত অনেকের কাছ হতে।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসবার পর সংসদ রাশেদ খান মেনন এ চক্রটিকে নির্মূল করবার চেষ্টা করেন কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রোকেয়া আক্তার বেগম এতে সহজে কেন এরকম একটি স্বর্ণের খনির উপর হতে নিজের দাবিনামা ছাড়বেন তিনি এ বিষয়টি নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হন , নিজের পদ রক্ষার মরিয়া লড়াইয়ে নামেন প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদাকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে, এমনকি এর জন্য রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে কিছু মিডিয়ার সাথে আঁতাত করে নোংরা কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি খেলা খেলতেও দ্বিধা করেননি কিন্তু গত বুধবার হাইকোর্ট রোকেয়া আক্তারের রিট আবেদন খারিজ করে দেয় জনাব মেনন কয়েকজন শিক্ষকের মাধ্যমে রোকেয়া আক্তারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বার্তা পাঠান। এতবড় পরাজয়ের পরও রোকেয়া আক্তারে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি রায়ের অনুলিপি হাতে পাননি। এ ছাড়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবার চিন্তা করছেন তাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হলে তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারেন না।
একটি বিদ্যাপিঠের শিক্ষকদের পদ আঁকড়ে পড়ে থাকার জন্য এরকম বেহায়াপনা দেখলে আসলেই দেশের ভবিষ্যত নিয়ে কিছুটা হলেও সংকিত হতে হয়, এধনরের পদ নিয়ে কামড়াকামড়ি করবার খেলা দেশের সব নামকরা ইস্কুল কলেজেই দেখা যায়, অধ্যক্ষ পদটি বাগানোর জন্য কিছু শিক্ষকদের ক্ষমতাসীনদের জুতার কীভাবে চাটতে পারে ছাত্র জীবনে তা নিজের চোখে কিছুটা হলেও দেখেছি , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তো সামান্য একটি পদের জন্য বিএনপির একই গ্রুপের শিক্ষক আরেক শিক্ষককে শিবিরের খুনি ক্যাডার দিয়ে খুন করে লাশ ম্যানহলে নিক্ষেপের মতো ঘটনাও আমরা পত্রিকা পড়ে জেনেছি।
এবারের ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে মোট ১৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের হয়েছে। আমার মনে হয় সময় এসেছে এ বাজেটের কিছুটা হলেও শিক্ষকদের নৈতিকতা শিখানোর কাজে ব্যয় করবার।
ইস্কুল ভর্তি যুদ্ধের সময়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনের উৎকণ্ঠিত অভিভাবক এবং ছাত্রীদের সারি জীবনে অনেকবার দেখার সুযোগও হয়েছে, আমাদের পরিবারে কোন বোন না থাকলেও পরিচিত এক আত্মীয়ার কন্যার সেখানে ভর্তি না হতে পারার বেদানা বিদুর চেহারা দেখেই কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের একটি সিটের কতখানি দাম, বাংলাদেশের শিক্ষা সচেতন পরিবারগুলির এই আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের কিছু শিক্ষক ও কর্মচারি অনেক ধরেই বাণিজ্যের বেসাতি করে আসছিল কয়েক বছর ধরেই টাকা নিয়ে ছাত্রির ভর্তির সিণ্ডিকেট, বিদ্যালয়য়ে নানা কাজের টেন্ডারে দুর্নীতি নিয়ে নানা কথা কানে আসছিল পরিচিত অনেকের কাছ হতে।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসবার পর সংসদ রাশেদ খান মেনন এ চক্রটিকে নির্মূল করবার চেষ্টা করেন কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রোকেয়া আক্তার বেগম এতে সহজে কেন এরকম একটি স্বর্ণের খনির উপর হতে নিজের দাবিনামা ছাড়বেন তিনি এ বিষয়টি নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হন , নিজের পদ রক্ষার মরিয়া লড়াইয়ে নামেন প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদাকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে, এমনকি এর জন্য রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে কিছু মিডিয়ার সাথে আঁতাত করে নোংরা কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি খেলা খেলতেও দ্বিধা করেননি কিন্তু গত বুধবার হাইকোর্ট রোকেয়া আক্তারের রিট আবেদন খারিজ করে দেয় জনাব মেনন কয়েকজন শিক্ষকের মাধ্যমে রোকেয়া আক্তারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বার্তা পাঠান। এতবড় পরাজয়ের পরও রোকেয়া আক্তারে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি রায়ের অনুলিপি হাতে পাননি। এ ছাড়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবার চিন্তা করছেন তাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হলে তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারেন না।
একটি বিদ্যাপিঠের শিক্ষকদের পদ আঁকড়ে পড়ে থাকার জন্য এরকম বেহায়াপনা দেখলে আসলেই দেশের ভবিষ্যত নিয়ে কিছুটা হলেও সংকিত হতে হয়, এধনরের পদ নিয়ে কামড়াকামড়ি করবার খেলা দেশের সব নামকরা ইস্কুল কলেজেই দেখা যায়, অধ্যক্ষ পদটি বাগানোর জন্য কিছু শিক্ষকদের ক্ষমতাসীনদের জুতার কীভাবে চাটতে পারে ছাত্র জীবনে তা নিজের চোখে কিছুটা হলেও দেখেছি , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তো সামান্য একটি পদের জন্য বিএনপির একই গ্রুপের শিক্ষক আরেক শিক্ষককে শিবিরের খুনি ক্যাডার দিয়ে খুন করে লাশ ম্যানহলে নিক্ষেপের মতো ঘটনাও আমরা পত্রিকা পড়ে জেনেছি।
এবারের ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে মোট ১৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের হয়েছে। আমার মনে হয় সময় এসেছে এ বাজেটের কিছুটা হলেও শিক্ষকদের নৈতিকতা শিখানোর কাজে ব্যয় করবার।
Subscribe to:
Posts (Atom)